ভারতে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলের শ্রেণিকক্ষসহ ল্যাব এবং লাইব্রেরিতেও শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের মোবাইল ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। মোবাইল ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে।
তবে সেজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি থাকতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলোকে এ বিষয়ে কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কোভিড পরবর্তী সময়ের দিকে লক্ষ্য রেখে ২২ দফা আচরণবিধি তৈরি করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সেখানেই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য জারি হয়েছে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা। এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে- হেডফোন, ব্লু টুথ বা কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস কানে গুঁজে ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সবার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। স্কুলশিক্ষা দফতরে মাঝেমধ্যেই শিক্ষকদের মোবাইল আসক্তি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটান বলে অভিযোগ।
ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো মাধ্যমগুলোতে এখন স্কুলকেন্দ্রীক বিভিন্ন ধরনের কৌতুক ভিডিও দেখা যায়। এমনকি ছোটখাট তর্ক-বিতর্কও ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়। যা নিয়ে পরে বিতর্ক তৈরি হয়। সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসস।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।